সম্পাদকীয় কলম
অন লাইনে জেলার বার্তার পথ চলা শুরু! ভাবতে বিস্ময় লাগে। সময় যে কত দ্রুতগামী। তা বুঝলাম। শিখলাম। এই ধারাবাহিক শেখাটাও আমাদের অনলাইন টিমের কাছে এক উৎসব। উৎসব মরশুমে তাই শুভেচ্ছার পাশাপাশি স্বীকারোক্তিও থাকল কিছু। দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার বাঙালিকে অনলাইনে খবর পড়তে শেখানো। অতি বিষম বস্তু। তারা এখনও অনলাইন খবর বললে, ই-পেপার বোঝে! বঙ্গোপসাগরের বাসিন্দারা এ বিষয়ে অন্তত বেশ কয়েক যোজন এগিয়ে। ডিজিটাল ভারত সোনার পাথরবাটি। ডিজিটাল বাংলা তাই সেই পথেরই পথিক হবে। তা সহজবোধ্য। বাঙালি আপাতত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেসবুক, হাইক, হোয়াটসঅ্যাপে যতটা মনোযোগী, খবর পড়তে নয়। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিয়াস এবং প্রামাণ্য কোনও খবরকে নিয়ে হ্যাটা করার সুখ বাঙালি ছাড়তে নারাজ। সম্পাদককে অনায়াসে ব-চ মার্কা বিশেষণে সাজিয়ে দেওয়া যায়। খবরের ঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়, রাজনীতি-কূটনীতি-- সবই মুহূর্তের নোটিশে আপডেট হতে থাকে। এবং সেই সুবাদে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে বাঙালি পাঠকের নিদারুণ দৈন্যের ছবিটিও প্রকট হয়ে পড়ে। আজ থেকে শুরু আমাদের পথ চলা । সহযোগিতা , সহপরামর্শতা একতা ,আমাদের আপনাদের খুব জরুরী । তাই চলার পথে জেলার বার্তার পাশে চাইছে প্রত্যেকেরএ এক অন্য শফৎ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে প্রানী কূল বিপদের সম্মুখে আর এক অন্যতম কারন বাজি।
শব্দবাজি নিয়ে অনেক বিধি নিষেধ জারি হওয়া সত্ত্বেও । আইনের মুখে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতি বছর চলে যথেচ্ছাচার। তাও প্রতি বছরই আশা করা হয় কিছুটা কমবে শব্দবাজির অত্যাচার। এবারেও সেরকমই প্রত্যাশা। কিন্তু আলোর বাজিও মোটেই নিরাপদ নয়। একদিকে শারীরিক সমস্যা । অন্যদিকে বিশ্ব উষ্ণায়নে পৃথিবীর বুকে কালীমাখা অধ্যায় হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। শারীরিক সমস্যা বলতে যাদের ঘন ঘন সর্দিকাশি বা অ্যালার্জির প্রবণতা আছে । তাদের জন্যে আলোর বাজির ধোঁয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর।শব্দ বাজিই হোক বা আলোর বাজি, এদের উপাদান মোটেই পরিবেশ বান্ধব নয়। আর আমাদের জন্যে তো নয়ই। এর ধোঁয়ায় থাকে সালফার ডাই- অক্সাইড, বেরিয়ামের অক্সাইড, নাইট্রেট, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যাডমিয়াম সহ বিভিন্ন ভারী বিষাক্ত যৌগ, যা মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীদেহের ওপর বিষক্রিয়া করে। আমাদের চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল তাই সহজেই তার ওপর এর প্রভাব পড়ে।যা একটা সময় অন্ধত্তের কারন হয়ে দাঁড়াই।বাজির বিশাক্ত ধোঁয়া গ্রাস করে পৃথিবীর প্রানীদের । ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিনকেদিন । সচেতনতার মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন সরকার সহ বেসরকারী প্রতিষ্টা । তবুও শোনে কে। নিজেরা যদি সচেতন , সর্তক না হয় তাহলেতো বিপদকে বরন করতে হবে। এমন বাজি বিরধিতায় কবে হবে বন্দ। বন্ধকি আদৌও হবে। যদি না হয় তাহলে দায় কার ।