কাকদ্বীপে মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারদের সাথে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
- ফ্যাক্ট ফাইল | Oct 04, 2024
নিজস্ব প্রতিনিধি, জেলার বার্তা ডেস্ক - বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় কাকদ্বীপের নয় জন মৎস্যজীবীর। বৃহস্পতি বার বিকেল বেলা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাকদ্বীপের মৃত ৯ জন মৎস্যজীবীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে আসেন।মৃত মৎস্যজীবীর স্বজনদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে এসে বাক বিতণ্ডায় জড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন স্থানীয় এক যুবক শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতদিন পরে রাজনীতি করতে এসেছেন। তখনই কার্যত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
নিজস্ব চিত্র
পাল্টা তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, আগে গ্রামে নলকূপ বসান। পানীয় জলের সঙ্কট আছে। আমি রাজনীতি করতে আসিনি। পতাকা ছেড়ে এসেছি। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে দেখতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভিড় করে। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার আগে ঘটনাস্থলে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। প্রতি পরিবার কিছু এক লক্ষ টাকার চেক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে তুলে দেন এর পাশাপাশি মৃত মৎস্যজীবীদের বাচ্চাদের পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্বভার তিনি নিজে কাঁধে তুলে নেন। এ বিষয় স্বজন হারানো মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের এক সদস্য তিনি জানান, আমরা খুব খুশি হয়েছি উনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন উনি আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের সুখ-দুঃখের কথা শুনেন। এর পাশাপাশি তিনি আমাদের এই দুঃসময়ে আর্থিক সাহায্য করেন আমরা খুব খুশি। মৃত মৎস্যজীবী দের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন,তৃণমূলের এক যুবক আমাকে বলেন আমি রাজনীতি করতে এসছি। আমি তাকে বলেছি আগের গ্রামে কল বসান তোলার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা করে চেক দিয়ে গেছেন। মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়ি প্রতি আপনাদের ৫০ লক্ষ্য টাকা করে চেক দেওয়া উচিত। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আমি কোথাও রাজনীতি করি না আমি দলের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যৎসামান্য অর্থ দিয়ে পরিবারের এই দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারাও খুশি হয়ে আমাদের এই অনুদানকে স্বীকার করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্ব নেব। তৃণমূলের এখন বহু নেতা বিজেপি নেতা দাবি করে এলাকা থেকে পালাচ্ছে। তার কারণ মানুষ বিজেপির ওপর এখনো পর্যন্ত আস্থা রেখেছে। রুপা গাঙ্গুলীর বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন, রূপা গাঙ্গুলী তিনি লড়াকু নেত্রী তিনি সারা রাত্রি ধরে ধর্না দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের আন্দোলনকে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। বাঁশদ্রোণীর ঘটনা মানুষকে জাগিয়ে তুলেছে। এই প্রথম কলকাতার বুকে পুলিশকে মারধর করেছে এবং আটকে রেখেছে। গ্রামে গ্রামেও মানুষ যদি দেখে যায় তাহলে এই তৃণমূলের গুন্ডারা পিছুপা হতেই বাধ্য। আমরা এখানে কোন রাজনীতি করতে আসিনি আমরা শুধু পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি যখন এই এলাকায় এসেছি মানুষ আমাকে রাস্তা থেকেই স্বাগত জানিয়েছে । মানুষ এলাকা তৃণমূলের গুন্ডাদের এবং পুলিশের ভয়ে রয়েছে তৃণমূলের পাশে মানুষ নেই গুন্ডারা রয়েছে এবং পুলিশ রয়েছে। বিনা কারণে এখানকার ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের দুই থেকে তিন মাস জেল খাটিয়েছে এই তৃণমূলের পুলিশ। মানুষ মুক্তি পেতে চাইছে এই সরকারের হাত থেকে একমাত্র বিজেপি পারবে সাধারণ মানুষদের এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি দিতে।