মহেশ হালদার, জেলার বার্তার জেলার সেনাপতি
- ফ্যাক্ট ফাইল | Mar 14, 2024
নিজস্ব প্রতিনিধি , জেলার বার্তা ডেস্ক ঃ- কোথাও রয়েছো হরিণের মূর্তি, কোথাও বা চিত্রপট, রয়েছে হাতের তৈরি নানান কারুকার্য। আর এই কারুকার্য গুলি সবটাই কাঠের। আর যিনি এগুলো যত্ন সহকারে বানিয়েছেন তিনি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের ঢোলাহাট থানার ভাজনা মানিক দুয়ানী এলাকার বছর ৩৩ শের যুবক মহেশ হালদার ।এখন এলাকার মানুষের নয়নের মনি। কাঠের মূর্তি তৈরি করে দেশ-বিদেশ সহ একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যে সুনামের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকার দিকে পারদর্শী ছিল এই মহেশ। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্কুল শিক্ষক নিমাই চাঁদ হালদারের ছোট ছেলে মহেশ ।লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবি আঁকা শুরু করে।,এই ছবি আঁকা নিয়ে মা এবং বাবার মধ্যে প্রায়ই মতবিরোধ লেগে থাকত।, বাবা চাইতো ছেলে ভালো করে লেখাপড়া শিখুক,।আর মা চাইতো ছবিও আঁকার সাথে সাথে লেখাপড়া ও শিখুক। শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া বেশি দূর করতে না পারলেও ছবি আঁকায় বিভিন্ন ডিপ্লোমা লাভ করে। এমনকি কোলকাতার চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে এম এফ এ পাশও করে।শিক্ষালাভের ছয় বছর নিজের হাতে রান্না, হাতে কলমে কাজ শেখার সময় না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে মহেশ।
নিজস্ব চিত্র
বাবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আর পিছন ঘুরে তাকাইনি মহেশ কাঠের মূর্তি তৈরি, বালি দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি, চামড়ার উপরে বিভিন্ন ছবি সহ রং তুলি নিয়ে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন শুরু করে মাগ্রামেই গড়ে তোলে গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা লাভের জন্য ঠাকুমার নামে ছবিরানী অঙ্কন শিক্ষাকেন্দ্র।যেখানে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২০০। প্রতিবেশিইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে।,বহু জায়গা থেকে চাকুরীর অফার পেয়েছে।মহেশকিন্তু গ্রামের টানে গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা লাভের দায়িত্ব মাথায় তুলে নেওয়ায় কোন পোলোভনের কাছে মাথা নোয়ায়নি মহেশ হালদার।মহেশ আর সেই মহেশ হালদারের জন্য গর্বিত পাথরপ্রতিমা ব্লকের ভাজনা মানিক দুয়ানী এলাকার মানুষজন। ছাত্রীগ্রামের মানুষদের কাছে নয়নের মনি যেমন এই মহেশ ।ঠিক তেমনি তার কারুকার্যের দক্ষতা, তার এই কর্ম ক্ষমতাকে জেলার বার্তার তরফ থেকে কুর্নিশ। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করে মাহেশের তৈরি কাঠের কারুকার্য পারি দিচ্ছে দেশে বিদেশে। তার নাম ছড়িয়েছে পড়েছে দিকে দিকে। এই জেলায় মাহেশ যেন এক গর্ব।মাহেশ যেন আজ সেনাপতির ভূমিকা পালন করছে এই জেলায়। তার এই দক্ষতায়, তার কর্মকাণ্ডে, এই জেলায় জেলার বার্তার সেনাপতি। সৃজনশীলের রিপোর্ট। জেলার বার্তা