
মকরবাহিনী গঙ্গা, ব্যাঘ্র বাহিনী দেবী, বিশালক্ষ্মী ও বনবিবির মন্দির আছে বকখালীর অমরাবতী গ্রামে।
- জেলার চালচিত্র | Jan 31, 2024
নিজস্ব প্রতিনিধি, জেলার বার্তা ডেস্ক - বকখালি সমুদ্র সৈকতের পাশেই , দীর্ঘ ঝাউ বনের ভেতরে এক শান্ত নিরিবিলি স্থানে বনবিবি মন্দির । সাবেকি নির্মাণ শৈলীতে তৈরি এই মন্দির ।কাঁচা-পাকা দালান , ওপরে কোথাও খড়ের ছাউনি, কোথাও আবার রয়েছে অ্যাসবেস্টার, টিন। সাথে নিঝুম শান্ত পরিবেশ।ভক্তি ও ভাবের উদ্রেক ঘটায় । বহু দূরদূরান্ত থেকে অগণিত ভক্তকুল এখানে পূজা দিতে আসেন । বিশেষত ধীবর পেশার সাথে যুক্ত মানুষরা বিশ্বাস করেন যে এই দেবী সমস্ত মনবাঞ্ছা পূরণ করেন।বিভিন্ন বিপদ থেকে তাদের উদ্ধার করেন।
নিজস্ব চিত্র
মকরবাহিনী গঙ্গা, ব্যাঘ্রবাহিনী দেবী, বিশালক্ষী ও বনবিবির মন্দির আছে বকখালির অমরাবতী গ্রামে।
সুন্দরবনের জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। দুয়েতেই প্রাণ যাবে- বাঘে খাবে নাকি কুমিরে খাবে এই ভয়ে মানুষের মনে বাসা বাঁধেন নানা দেব-দেবী। কখনো বাঘের দেবতা দক্ষিণ রায়, আবার কখনো বাঘের হাত থেকে ত্রাণকর্তা বনবিবি সুন্দরবনের মউলি, কাঠুরেদের রক্ষা করেন। বনবিবি আর দক্ষিণ রায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।চুক্তি করে তারা ভাগ করে নিয়েছে জঙ্গলের সীমানা সুন্দরবনের মানুষদের রক্ষার ভার। সেই বনবিবি, আর ভুল করেও কেউ সীমানা পেরিয়ে দক্ষিণ রায়ের জমিতে পা রাখলে তার ভবলীলা সাঙ্গ করতে ছুটে আসবে বাঘমামাদের দল।
আর সেটা যাতে না হয় সেই কারণেই আজও বিশ্বাসও ভক্তিতে ভূষিত করে আসছেন বকখালি এই মন্দিরে সুন্দরবনের বাসিন্দারা।