
চাষ কোরতে পারছেনা চাষিরা প্রশাসন কী বলছে।
- চাষী ভাই বলছি | Dec 29, 2023
নিজস্ব প্রতিনিধি,জেলার বার্তা ডেস্ক
সুন্দরবন লাগুয়া ডায়মন্ডহারবার দু'নম্বর ব্লক। এই ব্লকে রয়েছে সরিষা গ্রাম পঞ্চায়েত, কামারপুল গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এলাকায় দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে কৃষিজমি। চাষাবাদ বন্ধ থাকায় আগাছা জঙ্গলে ভরা সাপের আস্তানা হয়ে উঠেছে।সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কয়েক হাজার কৃষকদের। নিকাশি বন্ধ করে গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ। যার ফলে হারাতে হচ্ছে দিনের পর দিন কৃষকদের উর্বর চাষের জমি। সমস্যাটা চলে আসছিল বাম আমল থেকে।
নিজস্ব চিত্র
কয়েক হাজার বিঘা জমিতে চাষ করতে পারছেন না কৃষকেরা।২০১৮ সালে লিখিত অভিযোগ জানায় ডায়মন্ডহারবার ইরিগেশন এসডিও, ডায়মন্ড হারবার দু'নম্বর ব্লক আধিকার, এমনকি অভিযোগ জানানো হয় নবান্নতেও। নিকাশি সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। বাধ্য ২০২১ সালে দারস্ত হয় কৃষকরা কলকাতা হাইকোর্টে।
২০২৩ সালে উচ্চ আদালত কৃষকদের কথা মাথায় রেখে জল নিকাশি সমস্যার সমাধান করতে বলে। আনন্দে মেতে ওঠেন চাষ থেকে বঞ্চিত সরিষা কামারপুল এবং পাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা
অভিযোগ স্রোতের পোল থেকে সোনামুখী জঙ্গলপাড়া প্রায় ৭ কিলোমিটার শুতি খাল। সরিষা গ্রাম পঞ্চায়েত সরিষা প্রাথমিক হাসপাতাল থেকে বেন পাস। উচ্চ আদালত আদেশ দেন কাল সংস্করণ করা এবং অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা। আদালতের এমন আদেশ সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার চাষীরা।
উচ্চ আদালতের আদেশে আদেশে কাজ শুরু করেন ইরিগেশন দপ্তর।শুধু চাষিরা নন আদালতের এমন নির্দেশে খুশি এলাকার প্রবীণ এবং নবীনরা।
আজও মানুষ আইনের উপর আস্থা রেখেছেন। রেখেছেন ভরসা । তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরে পেতে সঠিক বিচার পেতে।
বিউরো রিপোর্ট জেলার বার্তা।