বুধাখালির বুলবুল ঘূর্নিঝড়ের দুস্বপ্ন ভুলতে পারছেনা এলাকাবাসি।
- পঞ্চায়েতের পাঁচ কাহন | Nov 15, 2019
ব্রজ বিনোদ জানা,বুধাখালি ঃ চলতি মাসের ১১ তারিখ গভীর রাতে বুলবুল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে গোটা সুন্দরবনে। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা বাদ যায়নি বুধা খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশালাক্ষ্মীপুর গ্রামের ২২৩ নম্বর বুথে প্রায় দেড় হাজার মানুষের বাস । খেটে খাওয়া মানুষের পেশা বলতে চাষাবাদ । ২০০৯ সালের আইলার দুঃস্বপ্ন কিছুটা হলেও আছড়ে পড়ে এই গ্রামে । কিন্তু বুলবুল ঘূর্নিঝড়ের গ্রাসে পরে বেশি ক্ষতি লক্ষ্য করা গেছে। কাকদ্বীপ কোটের ক্লার্ক শেখ জামাল ঝড়ের সময় বসেছিলেন তার নিজের বাসভবনে। বুলবুল ঝড়ের দিন হঠাৎ বিকট শব্দ। চারিদিকে সুনসান,সঙ্গে বৃষ্টিপাত! তারি মাঝখানে বৃষ্টিভেজা শেখ জামালের হতাশা চিত্র। গাছ পরে আতঙ্কে রয়েছে সেক পরিবারের সদস্যরা।
নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের পর সময় বদলেছে। কিন্তু কোন রূপ বদলায় নি বুথের ধংসের চিত্র। আজও সেই ঝড়ের কবলে পড়ে থাকা সুবিশাল গাছ পড়ে রয়েছে জামাল বাবুর বাড়ির উপর । নেই প্রশাসনের কোন সুব্যবস্থা । নেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। এই বুথের অধিকাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । বড় বড় গাছ পড়ে গিয়েছে বুলবুল ঝড়ের দাপটে। কিন্তু বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে পরিছন্নতা করার মতন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নানান সমস্যার সম্মুখীন পরেছে গ্রামের প্রবীণ তাকে নবীনেরা। বারংবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে আজও মিলল্লো না বিদ্যুৎ। ফলে অধিকাংশ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে । অবিলম্বে গ্রাম পরিষ্কারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ করে তাদেরকে সুব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি রেখেছে এলাকাবাসি। প্রশাসনের তৎপরতায় কি সুরাহ মিলবে? তা সময়ই বলবে।