।। হাঁটুর ব্যথায় কাবু ? কি করবেন? নজর দিন 'জেলার বার্তার' "শরীর স্বাস্থ্যে" ।
- শরীর স্বাস্থ্য | Jul 23, 2023
নিজস্ব প্রতিনিধি, জেলার বার্তা ডেস্ক - হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কম নয়। এই রোগের পিছনে মূলত থাকে অস্টিওআর্থ্রাইটিস। এই রোগ থাকলে শুধু পেইনকিলারে কাজ হবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসাও করতে হবে।
প্রায় প্রতি বাড়িতেই এই অসুখে আক্রান্ত রোগী আপনি পেয়ে যাবেন। তাই এই অসুখটিকে নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক হয়ে যেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
নিজস্ব চিত্র
এই অসুখের ক্ষেত্রে জীবন হয়েযায় দুর্বিসহ। কোনও কাজ করতে গেলে ব্যথা পেতে হয়। এমনকী সাধারণ হাঁটাচলাও করা যায়না। আর এই কারণেই মানুষকে এই সমস্যা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। কিন্তু এখনও বহু মানুষ এই রোগটি নিয়ে তেমন সচেতন নন। তাই প্রথম থেকে অসুখের চিকিৎসা হয়না। আর যখন চিকিৎসকের কাছে রোগী আসেন, ততদিনে হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই বেড়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে ডক্টর তরুণ কুমার পাল জানান এখন হাঁটুর ব্যথা ৪০-এর কম বয়সেও হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগটির জন্য দায়ী। এই অসুখে ব্যথা থাকে। ব্যথাই হল অন্যতম উপসর্গ। যন্ত্রণা হয় সিঁড়ি উঠতে গিয়ে। এছাড়া অনেকক্ষণ বসার পর উঠতে গিয়েও অনেকের সমস্যা হয়। এটাই হল এই অসুখের মূল সমস্যা। হাঁটুর হাড়ের ক্ষয় হয়। এছাড়া হাঁটুতে ফ্লুইড জমে যেতে পারে। প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ডা: পালের কথায়, আমাদের কাছে রোগী যখন এই সমস্যাগুলি নিয়ে আসেন তখনই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। এছাড়া আমরা পায়ের এক্সরে করতে দিই। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়ে যেতে হবে।
প্রাথমিকভাবে সমস্যা কমাতে চেয়ে চিকিৎসক পেইনকিলার দিয়ে থাকেন। এছাড়া আবার প্রয়োজন মতো হাঁটুতে ইঞ্জেকশন দিতে হয়। তবে প্রথমেই বলে রাখি অনেকে নিজে থেকে বিভিন্ন পেইনকিলার কিনে খান। এটা কিন্তু খারাপ অভ্যাস। এটা খেলে কিন্তু চলবে না। কারণ এর থেকে শরীরে গুরুতর রোগ হতে পারে।
তিনি আরো জানান,এক্ষেত্রে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাঁর কথায় এই মানুষগুলিকে খেতে হবে দুগ্ধজাত খাবার। এই খাবার খেলেই সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যাবে। পনির, ছানা ইত্যাদি খাবার খেতে হবে।
ডা: পালের কথায় এক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। হাঁটু মুড়ে বসতে হয়, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। এছাড়া ওজন কমাতে হবে।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা । কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।