খবরের জন্য

যোগাযোগ :- 8016367537/8648868278


Email ID: zillarbartaoffical@gmail.com


Registration No: WB-18-0064025

বিজ্ঞাপনের জন্য

যোগাযোগ :- 7478809472


।। ভারী বর্ষা না মেলায় বর্ষার ধান চাষে ঘাটতি জেলায় ।।

  • চাষী ভাই বলছি | Jul 16, 2023

নিজস্ব প্র‌তি‌নি‌ধি,দ‌ক্ষিণ ২৪ পরগনা - এক-দু’সপ্তাহ নয়। বর্ষাকাল বলতে যা বোঝায়, তা যেন পাক্কা এক মাস পিছু হেঁটেছে! মেয়াদও সাড়ে তিন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে কার্যত তিন মাসে।
এবং পশ্চিমবঙ্গে এই ‘পরিবর্তনের’ জের সামলাতে গত ক’বছর ধরে হিমসিম খাচ্ছেন কৃষকেরা। কারণ, ‘সনাতনী’ বর্ষা-সূচি অনুযায়ী এ রাজ্যে ধানচাষের যে বরাবরের নির্ঘণ্ট, বর্ষাবদলের ধাক্কায় তা ভেস্তে যাওয়ার জোগাড়! বীজ রোপন থেকে ধান রোয়ার মধ্যে অনেকটা সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। সেই বেশি বয়সের চারা থেকে যে ধান উঠছে, তার অনেকটাই অপুষ্ট। এতে ফলন কমছে। আবার দেরিতে রোয়া ধান যখন পাকছে, তখন দেখা যাচ্ছে জুলাই‌য়ের অতিবৃষ্টির জলে খেত টইটুম্বুর। কেটে তোলার সময়ে বিস্তর পাকা ধান স্রেফ ঝরে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে সার্বিক উৎপাদনে।
 
 
নিজস্ব চিত্র
 
বর্ষার খামখেয়ালিপনায় ধানের উৎপাদন যে বেশ ক’বছর ধরে মার খাচ্ছে, জেলার রিপোর্টেও তা স্পষ্ট। ‘অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক ওই রিপোর্ট মোতাবেক, ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে দ‌ক্ষিণ ২৪ পরগনায় আউস ধানের উৎপাদন কমেছে ৭হাজার টনের বেশি। যে জেলায় প্রধান খাদ্য ভাত এবং প্রধান ফসল ধান, সেখানে এ হেন পরিস্থিতিতে সরকার ও কৃষি-মহল স্বভাবতই উদ্বিগ্ন।
বর্ষার ‘ক্যালেন্ডার’টাই যে হেতু পিছিয়ে গিয়েছে, সেই মতো ধানচাষের সময়টাও পিছিয়ে দেওয়া যায় না?
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, না। কারণ ধান একটা নির্দিষ্ট সময়ের ফসল। বীজতলা থেকে চাষির গোলায় উঠতে ধানের মোটামুটি ১০০-১৬০ দিন লাগে। পিছিয়ে-যাওয়া ও মেয়াদ-ছাঁটা বর্ষায় ওই সময়টা পাওয়া কঠিন। উপরন্তু ‘নতুন ধারা’র বর্ষাকালের শেষ দিকটায় অতিবৃষ্টির বিপদ রয়েছে। আরও বড় সমস্যা, ধানকে ঠেলে পিছনে নিয়ে গেলে পরের দফার  অন্যান্য চাষ কখন হবে? কোথায়ই বা হবে? ধান উঠে যাওয়ার পরে ওই জমিতেই তো শীতের ফসল ফলানোর কথা!
চল‌তি বছ‌রে সময় ম‌তো বর্ষা না অাসায় সমস্যায় প‌ড়ে‌ছে দ‌ক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চাষী ভাইরা।পাথর প্র‌তিমা ,কাকদ্বীপ,সাগর দ্বীপ,ডায়মন্ড হারবার,ক্যা‌নিং ,বারুইপুর সর্বত্র যেন একই চিত্র।এক চাষী ভা‌য়ের কথায় বর্ষা চা‌ষে সা‌রের তেমন একটা প্র‌য়োজন না হ‌লেও জ‌লের প্র‌য়োজ র‌য়ে‌ছে।‌সেখা‌নে ঘার্ত‌ি র‌য়ে‌ছে।ফ‌লে হাল নামা‌নো অাসম্ভেব হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে ।বীজ তোলও দেখা মিল‌ছেনা ।বর্ষার চাষ অ‌নেক কম হ‌চ্ছে।অন্য‌দি‌কে য‌শের নোনা জলচ্ছা‌সে চাষ নদী উপকূ‌লিয়‌তে নেই  ব‌ল্লে চ‌লে।ফ‌লে এখন ভারী বর্ষা অাসার অ‌পেক্ষা ছাড়া কিছুই না ।