
।। শিক্ষকের অভাবে ধুকছে গঙ্গাসাগরে কীর্তনখালি গ্রামে স্বর্ণময়ী প্রাথমিক স্কুল ।।
- জেলার চালচিত্র | Mar 01, 2023
নিজস্ব'প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর; স্কুলের প্রার্থনার ঘন্টা দেওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনা মিড ডে মিল সমস্ত কিছুই সামলাতে হচ্ছে একজন শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫০ ।আর তাতেই নাজেহাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ।ঘটনাটি গঙ্গাসাগরের রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কীর্তনখালী গ্রামে স্বর্ণময়ী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫০ জন নিয়মিত স্কুলেও আসে তারা কিন্তু শিক্ষক কই? প্রধান শিক্ষকের একার উপরেই সমস্ত দায়িত্ব স্কুলের ঘন্টা দেওয়া থেকে শুরু করে পড়াশোনা সামলানো ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল সমস্ত কিছুই তাকে একা হাতে সামলাতে হচ্ছে আর তাতে একদিকে যেমন নাজেহাল হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক,ঠিক তেমনি পঠন-পাঠনের মান উন্নয়ন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ।স্কুল
নিজস্ব চিত্র !
শুরুর প্রথমে শিক্ষক ছিল তিনজন তার মধ্যে একজন ট্রান্সপার নিয়ে চলে যায় নিজের এলাকায় অন্যদিকে কিছুদিন আগেই হাইকোর্টের রায় চাকরি থেকে স্থগিতাদেশ পায় সঞ্জীব কর নামে এক শিক্ষক আর তাতেই এখন স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়েছে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল এর ঘাড়ে ।অফিসিয়াল দরকারে অথবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসলেই ছুটি হয়ে যায় স্কুল ।আর যাতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা ।শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত একাকেই ক্লাস সামলাতে হয় প্রধান শিক্ষককে পাশাপাশি স্কুলের প্রার্থনার ঘন্টা টিফিনের ঘন্টা এমনকি ছাত্রছাত্রীরা ঠিকঠাক মতন মিড ডে মিল পাচ্ছে কিনা এই সমস্ত কিছুই সামলাতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে একাকেই ।গত নভেম্বর মাসে এক শিক্ষক ট্রান্সপার নিয়ে চলে যায় নিজের এলাকায় তারপর ওই স্কুলে জয়েন করে সঞ্জীব কর নামে এক শিক্ষক তারও গত ২১ তারিখে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরির স্থগিতাদেশ জারি হয় তারপর থেকেই একাকে স্কুল সামলাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে ।তবে এই বিষয়ে বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র জানায় এই বিষয়ে স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে যত শীঘ্রই সম্ভব শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ ।তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি তাদের মতে তৃণমূল সরকারের শাসনব্যবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তবে গঙ্গাসাগরের স্বর্ণময়ী অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলেরই ছবিটা যে এইরকম তা নয় একটু ভালো করে নজর দিলেই জেলার অনেক স্কুলই কখনো শিক্ষকের অভাবে আবার কখনো বা শিক্ষা পরিকাঠামোর অভাবে এমনভাবেই শেষ হতে চলেছে ।।