খবরের জন্য

যোগাযোগ :- 8016367537/8648868278


Email ID: zillarbartaoffical@gmail.com


Registration No: WB-18-0064025

বিজ্ঞাপনের জন্য

যোগাযোগ :- 7478809472


শুভ বিজয়া দশমী

  • সম্পাদকীয় কলম | Oct 15, 2021

পুরাণমতে, ‘দুর্গম’ নামক এক অসুর ছিল। তার কাজ ছিল সৃষ্টিকুলকে দুর্গতিতে ফেলা। সেই দুর্গম অসুরকে বধ করায় দেবীর নাম হয়েছে দুর্গা। দুর্গমকে বধ করে যিনি স্বর্গ থেকে বিতাড়িত দেবতাদের হৃত রাজ্যে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং জীবজগৎকে চিরকাল দুর্গতির হাত থেকে রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় সর্বজনীন দুর্গাপূজা শুরু হয়। মূলত দেবী দুর্গার প্রতিরোধের চেতনা মাথায় রেখেই দেশমাতা বা মাতৃভূমির জাতীয়তাবাদী ধারণা বিপ্লবের আকার নিয়েছিল। দেবী দুর্গার ভাবনা থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আনন্দ মঠ উপন্যাসে ‘বন্দে মাতরম’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন, যা পরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী নেতারা এই সর্বজনীন পূজার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। ব্রিটিশবিরোধী মন্ত্রে উদ্দীপ্ত কাজী নজরুল ইসলাম এই দেবীকে নিয়ে লিখেছিলেন ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা, যার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে জেলে পুরেছিল। দুর্গাকে উদ্দেশ করে নজরুল লিখেছিলেন, ‘দুর্বলেরে বলি দিয়ে ভীরুর এ হীন শক্তি-পূজা/ দূর করে দে, বল মা, ছেলের রক্ত মাগে দশভুজা/ “ময় ভুখা হুঁ মায়ি” বলে আয় এবার আনন্দময়ী/ কৈলাশ হতে গিরি-রাণীর মা দুলালী কন্যা অয়ি!’শারদীয় দুর্গাপূজা কেবল আরাধনার
উপলক্ষই নয়, তা আনন্দ-মিলনের সুযোগও। সেই আনন্দ ধর্ম সম্প্রদায়ের গণ্ডি ছাপিয়ে সমাজের সবাইকে আবাহন করে। কাছে ডেকে নেয়। দুর্গোৎসব তাই দিনে দিনে হয়ে উঠেছে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব।করোনা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগে যতই থাকুক। মা দুর্গা সবাইকে রক্ষা করবে।

আজ বিজয়া দশমী। শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ শেষ দিন। দুর্গার বিদায়লগ্নের আনন্দ-বেদনা মেশানো অনুভূতি আজ ভক্তদের মনকে সিক্ত করে আছে। সারা বছরই তা অটুট থাকুক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অটুট থাক।